কমেছে জলাশয় , শোলা চাষে ভাটা : খরচ বৃদ্ধিতে হতাশা মালাকার পাড়ায়

28th September 2021 12:50 pm হুগলী
কমেছে জলাশয় , শোলা চাষে ভাটা : খরচ বৃদ্ধিতে হতাশা মালাকার পাড়ায়


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) : সিঙ্গুরের পলতাগড় গ্রামে রয়েছে মালাকার পাড়া। শোলা দিয়ে প্রতীমার ডাকের সাজ তৈরী করে মালাকার পাড়ার শোলা শিল্পীরা। আগে এই পাড়ায় ঘরে ঘরে তৈরি হতো প্রতিমার ডাকের সাজ। বর্তমানে দু তিনটে পরিবার ছাড়া আর কেউ এই পেশায় যুক্ত নেই। বহু পরিবার বদলেছে পেশা। তবুও এই পেশাকে টিকিয়ে রাখতে বাড়ির পরিবারের ছোট ছেলে বাবার সাথে কাজে হাত লাগায়। 
আবার কেউ মৃত স্বামীর শিল্পসত্তাকে বাঁচিয়ে রাখতে পুজোর সময় প্রতীমার ডাকের সাজ তৈরি করে সংসার চালাচ্ছেন।  আগে দুর্গা পুজোর সময় শ্রীরামপুর, চন্দননগর, সোদপুর সহ বিভিন্ন শহরে বনেদি বাড়ি থেকে ক্লাবের পুজোয় প্রতীমার ডাকের সাজ তৈরি করতো। তাই এই গ্রামের নাম হয়েছিল 'মালাকার পাড়া'। বর্তমানে সেই পাড়ার নাম খোদাই রয়েছে গ্রামের মন্দিরের পাথরের ফলকে। আগের মতো সেই ব্যস্ততা না থাকলেও, এবারের পুজোতেও কয়েকটা বরাত পেয়েছে শোলা শিল্পীরা। 
সময়ের সাথে সাথে জলাশয় কমেছে। তৈরী হয়েছে কারখানা থেকে বহুতল আবাসন। কমেছে শোলা চাষ। ফলে বেশি দাম দিয়ে বাইরে থেকে শোলা কিনে ডাকের সাজ করে লাভ নেই কারিগরদের। দাম বেড়েছে ডাকের সাজের জন্য ব্যবহৃত চুমকি, রঙিন জড়ি সহ অন্যান্য দ্রব্যের। ভালো কাজ করে মজুরি নেই। তাই অনেকেই এই পেশা ছেড়ে দিয়ে ভিন্ন পেশায় যুক্ত হয়েছে। কষ্টের জীবনের মাঝেও শোলার সাজে মা দুর্গাকে দেখে যে আনন্দ পায়, তাতেই তারা খুশি। মেলে না সরকারি সাহায্য।  সরকারী শিল্পী ভাতা ও আর্থিক সহযোগিতার দাবি জানিয়েছে মালাকার শিল্পীরা।





Others News

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে

নিম্মচাপের জেরে অতিবৃষ্টি : হুগলী জেলায় ব‍্যাপক ক্ষতি চাষে


সুজিত গৌড় ( হুগলী ) :  নিম্ন চাপের জেরে শনিবার থেকে অকাল বৃষ্টিতে মাথায় হাত চাষীদের।
জেলায় আলু চাষে ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়ে যাবে কয়েক লক্ষ টাকার উপর বলে দাবি চাষীদের। ধান জমিতে যেমন ক্ষতির পাশাপাশি হুগলী জেলা জুড়ে ব্যাপক ক্ষতি এবার আলু চাষে। চলতি বছরে বার বার নিম্নচাপ  চাপের জেরে যেভাবে ধান চাষ পিছিয়ে ছিল ঠিক আলু চাষও পিছিয়ে ছিল প্রায় পনোর দিন। তবে গত শুক্রবার পযন্ত হুগলী জেলায় প্রায় ৩০ শতাংশ জমিতে বসানো হয়ে গিয়েছিল আলু এবং ৬০ শতাংশ জমি আলু চাষ উপযোগী করে তুলে ছিলেন চাষীরা। ধান চাষের মত আলু চাষের শুরুতে এবার কাল হয়ে উঠলো অকাল বৃষ্টি। অকাল বৃষ্টির ফলে যে সব জমিতে ইতি মধ্যেই আলু বসানো হয়ে গিয়েছিল, সেই সব জমিতে জল জমে থৈ থৈ করছে। ফলে জমিতে বসানো সমস্ত আলু বীজ পচে নষ্ট হতে বসেছে।  কারণ আলু বসানোর পর অন্তত পনেরো থেকে কুড়ি দিন কোনো জলের প্রয়োজন পরে না আলু চাষের ক্ষত্রে।
এ বছর এক বিঘা জমিতে চাষ উপযোগী করে আলু বসানো পযন্ত চাষীদের খরচ পড়েছে প্রায় পনেরো হাজার টাকা অন্যদিকে আলু বসানোর আগে পর্যন্ত  এক বিঘা জমিকে  চাষ উপযোগী করে তুলতে খরচ পড়েছে প্রায় সাত হাজার টাকা। অর্থাৎ ইতি মধ্যে নিম্ন চাপের জেরে অকাল বর্ষণে হুগলী জেলার ক্ষতির পরিমাণ ছাড়িয়েছে লক্ষ  লক্ষ টাকার উপর। জেলায় আলু চাষের জমির পরিমান ৯০ হাজার হেক্টর জমি। সেমবার সকাল থেকেই  আলু জমি থেকে জল বের করে আলু বীজ বাঁচানোর মরিয়া চেষ্টা করছেন চাষীরা। চাষীদের দাবি অকাল বর্ষণে একেবারে সর্বস্বান্ত  হয়ে পড়েছে। আবার নতুন করে আলু বসানো বা জমি তৈরি করে আবার আলু বসানো অনেকের পক্ষেই আর সম্ভব হবে না।
অন্যদিকে আবহাওয়া উপযোগী হলে পুনরায় জমি আলু চাষের উপযোগী করে আলু বসাতে সময় লাগতে পারে পনেরো থেকে কুড়ি দিন। ফলে আলু চাষে ফলন যেমন কমবে খাবার আলুর জোগানেও পড়বে টান। আগামী দিনে ধানের ক্ষতির ফলে যেমন  চালের যোগান টান পড়ার সম্ভাবনা তৈরি হয়েছে।  ঠিক তেমনি আগামী দিনে খাবার আলুর জোগানেও টান পড়বে বলে মত চাষীদের।